আমরা মুজিবসেনা নেত্রী মোদের শেখ হাসিনা

A blog of Freedom Fighter Moktel Hossain Mukthi হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বিশ্ববরেন্য মহান নেতা স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ত্যাগ তিতিক্ষা, আদর্শ, শিক্ষা ও অবদানের সহস্র কোটি সৃতিবিজড়িত সোনার বাংলা গড়ার কাজে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে "ডিজিটাল বাংলাদেশ" গড়ার কাজে সহযোগিতা করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য এবং মহৎ উদ্দেশ্য ।

Monday, July 1, 2013

ক্ষমা চাই সকলের কাছে।

ক্ষমা চাই সকলের কাছে। সবাই আমাকে নিজগুনে ক্ষমা করবেন। আসলে আমি কেউ না এ দেশের ভালো মন্দ আয় ব্যয় উন্নতি অবনতি ধংশ বা নির্মাণে ।আমার কোনো অবদান নেই এ দেশের জন্য। আমি শুধু পথের ধারে অযত্নে বেড়ে ওঠা দলিত মথিত দূর্বা ঘাস। আমি একটি রাস্তার নেড়ে কুকুর। মূর্খ অথর্ব বাচাল প্রকৃতির একটি বাজে লোক। আমি আমার নিজেকেই ঘৃণা করি মনে প্রাণে।আত্বহত্যা মহা পাপ এবং মহান আল্লাহ্‌ তায়া'লার কাছে গিয়ে কোনো জাবাদিহীতার রাস্তা থাকবে না। দুটি কন্যা সন্তান বেড়ে ঊঠেছে অযতনে মূর্খ ব্যর্থ পিতার সন্তান হিসেবে।
শুনিতে চেওনা কোথায় কষ্ট কোন সে গোপনকথা!
শুনিয়া হাসিবে মুচকি হাসি, নয়তো পাইবে ব্যাথা।
নয়তো বলিবে, আসলেই সত্যি বদ্ধ পাগল মুক্তি,
নাহি কথার সামঞ্জস্য নাহি কোনো যুক্তি ।
এ দেশ স্বাধীন করেছিলো সেনা বাহিনী। যুদ্ধের পূর্বেই যারা সশস্ত্র জীবন যাপনে অভ্যস্ত। দেশ স্বাধীন করেছে তারাই। সাতজন বীর শ্রেষ্ঠও সেনা বাহিনীর সদস্য। হতভাগা জাতিরজনককে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, সেও সেনাবাহিনী। মঞ্জুর, জিয়া, খালেদ মোশাররফ, কর্নেল তাহের, তাজুদ্দিন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপঃ মনসুর আলী, কামরুজ্জামানসহ হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের বিনা বিচারে রুদ্ধ কারাগারে হত্যা করেছে, সেটাও সেনা বাহিনী। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ৪০ বছরের মধ্যে মাত্র সাড়ে সাত বছর দেশ শাসন করেছে জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার আর বাদ বাকী সাড়ে ৩২ বছর বৈধ এবং অবৈধভাবে দেশ শাসন করেছে সেনা বাহিনী। কোথায় গণতন্ত্রের শিশু, তাকেতো হাটতেই শিখানো হয়নি? দেশের সমস্ত সরকারী আধা সরকারী স্বায়ত্বশাসিত প্রধান প্রধান প্রতিষ্ঠান গুলোর কর্ণধার বর্তমান অথবা অবসর গ্রহণকৃত সেনা কর্মকর্তা। দেশ বিদেশের দূতাবাসগূলোতে চাকুরীর সুবিধাদিসহ প্রেষণে নিয়োগ পেয়েছে সেনাবাহিনী। কাজেই মুক্তিযুদ্ধ এবং তার সকল মহিমা সেনাবাহিনীরই প্রাপ্য। বাকী সব ছাগলের তিন নম্বর বাচ্ছা। উচ্চ শিক্ষিত, মেধাসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে পাশ করা যুব গোষ্ঠী ভালো চাকুরী না পেলেও, অবসরপ্রাপ্ত সেনা বাহিনী ঠিকই চুক্তিভিত্তিক উচ্চ পদসমূহে নিয়োগ পেয়েছে। কারন তারাই এ দেশ স্বাধীন করেছে। বাকী আমরা যারা বাঙ্গালী, তারা অকালকুসুমন্ড তথাকথিত ভোদাই সম্প্রদায়। তারেক জিয়া দুর্নীতি লুন্ঠণ করেছে, পত্রপত্রিকা দেশবিদেশে ছড়িয়ে দিয়েছে কিন্তু ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এ কি হচ্ছে, তা জাহাঙ্গীর গেট পর্যন্ত জানতে পারছে না। এ কথা আমি মুক্তি বলবার কে? আমি বলবোই বা কেনো। দুর্নীতি দমন কমিশনের এক কর্মকর্তা আমাকে একটি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার তদন্তের সাক্ষী হিসেবে ডেকেছিলো এবং ধমকিয়ে ওই তদন্ত কর্মকর্তা আমাকে শাসিয়েছিলেন " যে ব্যক্তি সরকারি অর্থ তছরুপ করেছে, সেটা সরকারের অর্থ, আপনার কি? আপনি কে অভিযোগ করতে? আপনার এতো মাথা ব্যথা কেনো। আলবৎ সত্য কথা। আমি কে? আমি কেনো দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলাম? আমিতো একটা stupid! আর কিছু নয়। আমার কি আসে যায় যদি সরকারের টাকা লুটপাট হয়? আমার এই ষাট বছরের কাছে এসে শুভ বুদ্ধির ঊদয় হয়েছে। এতো দিনে বুঝলাম এ সমাজে, এ দেশে, এ মাটিতে আমি একটি পদার্থহীন অপদার্থ। নিজেকে বিরাট একটা কিছু মনে করতাম। গায় পড়ে পথের কাঁটা নিজের কাঁটা মনে করে মানুষের সাথে অহেতুক ঝগড়া ফেসাত দাঙ্গা হাঙ্গামা বাক বিতন্ড যুক্তি তর্ক বিতর্ক আর স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা, রাজাকার, বিএন পি জামাত যতো সব অহেতুক বিষয়াদি নিয়ে অযৌক্তিক এবং উদ্ভট অসামঞ্জস্য কথা বার্তা বলে বেড়াতাম। কিন্তু আসল বিষয়টা ছিলো সম্পূর্ণ ভিন্ন।
আমি কেউ না বাংলাদেশের। আমার পিতা মাতার বিশেষ উত্তেজনার ফসল মাত্র আমি জন্মেছিলাম বাংলার একটি অখ্যাত নিভূত পল্লীর জীর্ণ কুঠিরে। সংসারে সকলের ছোট হয়েও উচ্চ শিক্ষার মূখ দেখতে পাইনি আমার এই প্রচন্ড দাপট বাউন্ডেলেপনার জন্য। কোন রকম পেটে ভাতে খেয়ে পড়ে অনেক কষ্টে কিছু মুল্যহীন সনদপত্র যোগার করেছিলাম। সেও মনে হয় বোর্ড অফ এডুকেশনের ভুলের কারনে পেয়েছিলাম। 
যেদিন হাওয়া ভবন এর সন্ত্রাসীদের হাতে বেদমভাবে প্রহৃত হ’লাম, জীবন ভিক্ষা চেয়ে প্রান বাচালাম সেদিনই আমি বুঝেছিলাম, আমি এ দেশে অকালকুসুমন্ড মূল্যহীন একটি অযাচিত জঘন্য ঘৃণ্য অতিকায় তুচ্ছ  নরকের কীট। তাই স্ত্রী সন্ডানদের ফেলে নিজের জীবন নিয়ে পালিয়ে এলাম। এসে ভাবলাম আমার কথা গুলো অন্তত বিশ্বকে জানানো উচিত। আমার জানাবার ভাষা এবং উপস্থাপনে হয়তো বা কোনো আর্ট ছিলো না কিন্তু সত্যতা ছিলো সম্পূর্ণ ১০০ ভাগ। আমার জন্মভূমি আমি ছেড়ে এলেও আমার বিধির বিধান ভাগ্য লিখনতো আমার সাথে সাথেই মায়া মরীচিকার মতোই তাড়া করেছে, আমি পালাতে চাইলেও আমার ভাগ্যের লেখা অনুযায়ী ওরা তো আমার পিছু ছাড়েনি।
এই মিডিয়া জগতে কতো জনেরে একান্তভাবে পেয়েছি, কতজনেরে মিথ্যে কারনে মিথ্যে অজুহাতে অশ্রাব্য ভাষায় তিরস্কার করেছি। আসলে আমিতো কেঊ না ও কথা বলার যে কথা আমি একান্ত আমার এবং দেশের শ্ত্রু মনে করে অপরজনকে বলেছি। ওরা শত্রু হবে কেনো? এটাইতো ছিলো আমার সব চেয়ে বড় আহাম্মকী এবং ডাষ্টবিনে নিক্ষেপিত হবার মুল কারন। শ্ত্রুতো আমি আমার নিজের। শ্ত্রু আমি সকলের। শ্ত্রু আমি বাঙ্গালী জাতির। শ্ত্রু আমি মিডিয়া জগতের সকলের। আমাকেইতো আমার ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে শাস্তি দিতে ইচ্ছে হচ্ছে। 
বন্ধুগণ, আমাকে আপনারা মনে রাখবেন না। ভূলে যাবেন। যদি কখনো কারো মনে কোন কষ্ট দিয়ে থাকি। কাউকে স্বাধীনতা বা বঙ্গবন্ধু সংক্রান্ত কারনে কোনো কটু কথা বা গালি দিয়ে থাকি, আমাকে আপনারা ক্ষমা করে দিবেন। যদি শুনতে পান কোনো মাধ্যমে যে ‘মুক্তি নামের সে শুয়োরটা আর বেঁচে নেই’, আমাদের আর জ্বালাতন করবে না, সেদিন আমার বেহেস্ত নছিবের জন্য না হলেও নরকের শাস্তি মৌকুফের জন্য পারলে দোয়া করবেন।
“ অন্ধকারে এসেছিলেম, থাকতে আধার যাই চলে,
ক্ষণিক ভালো বেসে ছিলেম, চির কালের নাই হলেম।
আপনারা ভূলে যাবেন আমার এ বেসুরো বেতাল গানের কোনো একটি লাইনও যদি আপনাদের কারো কাছে কোনো মুহূর্তে ভালো লেগে থাকে?  
আমার আপন বড় ভাইকে হারানোর পর এই নেট ওয়ার্কের মিডিয়ার মাধ্যমে বড় ভাই হিসেবে শহীদুল আলম ভাইজান কে পেয়েছিলাম,  যদি জীবনে একবার দেখা না পাই বড় কষ্ট থেকে যাবে তার জন্য । কারো কোন করুনা চাই না। দয়া চাইনা, চাইনা কোন ভিক্ষার অনুকম্পা।
“যেহেতু দেশকে জাতিকে নিজে কিছুই দিতে পারিনি, তখন চাইবারও কোনো অধিকার আমার নেই।
“শুধু আর একবার দ্ব্যর্থহীন ভাষায় আমার শুষ্ক ওষ্ঠাধর থেকে নিক্ষেপ করে গেলাম...বাঙ্গালী জাতির জন্য . the ungrateful nation
 



No comments:

Post a Comment